কোলোনোস্কপি কি?

Hospital

Share This Post

কোলনস্কপি সবসময়ই যন্ত্রণার নয়। কারণ, কোলনস্কপিতে আপনার যন্ত্রণা উপশমের জন্য আমাদের রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সুদক্ষ কনসালট্যান্টের সরাসরি তত্ত্বাবধান। তাই ঝেড়ে ফেলুন কোলনস্কপিতে যন্ত্রণার ভয়।

সর্বাধুনিক কোলনস্কপি দ্বারা
এই রোগ-সমূহ ও তার উপসর্গ জানা যায়ঃ

১. পায়ুপথের বাইরের বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয় (পেরি অ্যানাল স্কিন ট্যাগ, রেকটাল প্রোল্যাপস, পেরি অ্যানাল অ্যাবসেস, ফিস্টুলা)

২. পায়ুপথের বিভিন্ন রকম সমস্যা নির্ণয় (পাইলস বা হিমোরয়েড, অ্যানাল ফিশার, ঘা বা আলসার, রক্তপাত ইত্যাদি)

৩. মলাশয়, সম্পূর্ণ বৃহদান্ত্র ও টার্মিনাল আইলিয়ামের বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয় (আলসার বা ঘা, টিউমার বা ক্যান্সার, রক্তপাত, পলিপ, ডাইভার্টিকুলাম, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রন’স ডিজিজ, যক্ষা কিংবা টাইফয়েড আলসার)

৪. খাবারে অরুচি কিংবা দেহের ওজন কমে যাওয়া।

৫. পরিমাণ মতো পায়খানা না হওয়া।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়া।

৭. ঘন ঘন পাতলা পায়খানা কিংবা মিউকাস যাওয়া।

৮. পুরাতন আমাশয়।

৯. আইবিএস রোগ নির্ণয়ে।

১০. পায়ুপথে রক্তপাত।

১১. বদহজম বা পেটে গ্যাস।

১২. রক্ত স্বল্পতা দেখা দেওয়া।

১৩. কালো পায়খানা।

১৪. পেটে কোন দলা বা চাকা দেখা দেওয়া।

কোলনস্কপি একটি অত্যাধুনিক এবং সরাসরি দেখে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা যা দ্বারা পায়ুপথ, মলাশয়, পুরো বৃহদান্ত্র ও টার্মিনাল আইলিয়াম পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং এখানে কোন ঘা বা আলসার, টিউমার বা ক্যান্সার, পলিপ, রক্তপাত, কোন অংশ চেপে যাওয়া ইত্যাদি বিষয় সরাসরি দেখে ছবি তুলে এনে রোগীর সামনে উপস্থাপন করা যায়।

এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নিরূপণ ছাড়াও উল্লেখিত অংশসমূহের অনেক রোগের সফল ও কার্যকরী চিকিৎসা প্রদান সম্ভব।

কেন কোলোনোস্কপি করা হয় ?

নিম্নলিখিত কারণগুলোর জন্য কোলোনোস্কপি করা হয়

১. দেহে রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে।

২. পায়ুপথে রক্তপাত হলে।

৩. মল পরীক্ষায় OBT (Occult Blood Test) পজিটিভ হলে।

৪. দীর্ঘ মেয়াদী পাতলা পায়খানা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে।

৫. IBD (Ulcerative Colitis ও Crohn’s Disease) রোগ নিরূপণসহ চিকিৎসা কালীন ও চিকিৎসা উত্তর Assessment করতে।

৬. কোলন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে।

৭. এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষায় অস্বাভাবিকত্ব থাকলে।

৮. এই পরীক্ষার মাধ্যমে বৃহদান্ত্রের যে কোন অস্বাভাবিক গঠন, ক্ষত বা বিভিন্ন রোগ যেমন – পাইলস বা হিমোরয়েড, অ্যানাল ফিশার, পলিপ, টিউমার, ডাইভার্টিকুলাম, ইনফেকটিভ কোলাইটিস, ইন্টেসটাইনাল টিবি ইত্যাদি সনাক্ত করা সহ বেশ কিছু রোগের চিকিৎসা দেওয়া কার্যকরীভাবে সম্ভব।

৯. চিকিৎসার জন্য যেমন – পলিপ অপসারণ, রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা, পাইলসের ব্যান্ড লাইগেশন, সংকুচিত নালীর প্রসারণ করা, FNAC কিংবা বায়োপসির জন্য টিস্যু সংগ্রহ ইত্যাদি।

১০. বৃহদান্ত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় বাহ্যিক পদার্থের অপসারণ
(যেমন মাছের কাঁটা, মাংসের হাড়, মাংসপিণ্ড, মার্বেল, পয়সা, ব্যাটারি, বোতাম, নাকফুল, কানের দুল, কৃত্রিম দাংতের অংশবিশেষ, তারকাটা, পিন, হিজাবের পিন ইত্যাদি)

১১. আলসার টিউমার বা ক্যান্সার থেকে FNAC কিংবা বায়োপসির জন্য টিস্যু নেয়া।

১২. পলিপ অপসারণ।

১৩. রক্তপাত বন্ধে অ্যাড্রেনালিন ইনজেকশন দেয়া।

কোলোনোস্কপি করার আগের প্রস্তুতি কি?

ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

কোলোনোস্কপি কি নিরাপদ ?

কোলোনোস্কপি ঝুকিহীন একটি নিরাপদ স্বাস্থ্য পরীক্ষা।

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

জন্ডিস

জন্ডিস থেকে মুক্তির সহজ উপায়

জন্ডিস নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম, আর জন্ডিস থেকে মুক্তির সর্বোত্তম উপায় হলোঃ (ক) হেপাটাইটিস এ এবং ই ভাইরাস দিয়ে যাতে জন্ডিস না হতে পারে ১)

অন্যান্য বিষয়

ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট

আপনার যদি নিম্নোক্ত লক্ষণ উপসর্গগুলো থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার পাকস্থলীতে এইচ পাইলোরি ইনফেকশন রয়েছেঃ কি হতে পারে যদি আপনি এইচ. পাইলোরি ইনফেকশন-এর চিকিৎসা